ইমো অ্যান্টি-ফ্রড কি? ইমো অ্যান্টি-ফ্রড যেভাবে কাজ করে

বর্তমানে ইমো ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ কোটিরও বেশি। ডিজিটাল বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়তই সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনলাইনে সোস্যাল মিডিয়া একাউন্ট জিম্মী করা বা বিভিন্ন আপত্তিকর কনটেন্ট দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করা সহ নান ভাবে ইমো ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করা ইত্যাদি সমস্যাকে মাথায় রেখে  ইমো তাদের অ্যাপে যোগ করেছে নতুন ফিচার ইমো অ্যান্টি-ফ্রড

ইমো অ্যান্টি-ফ্রড কি? ইমো অ্যান্টি-ফ্রড যেভাবে কাজ করে।
ইমো অ্যান্টি-ফ্রড কি? ইমো অ্যান্টি-ফ্রড যেভাবে কাজ করে।

আরও পড়ুনঃ

ইমো অ্যান্টি-ফ্রড কি?

ইমো অ্যান্টি-ফ্রড ইমো অ্যাপের একটি সিকিউরিটি সিস্টেম। ইমো ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকি থেকে বাচাতে ইমো তাদের অ্যাপে অ্যান্টি-ফ্রড  সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। যেটার মাধ্যমে আপনার ইমো একাউন্ট অনেক সুরক্ষিত থাকবে। আপনার  ইমো একাউন্ট কেউ হ্যাক করার চেষ্টা করলে ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম আপনাকে নতুন ডিভাইসের ডিটেলস সহ আপনাকে একটি নোটিফিকেশন পাঠাবে। এছাড়া যদি কেউ কোন আপত্তিকর কন্টেন্ট পাঠানোর চেষ্টা করে, সেটা পোস্ট হওয়ার আগেই সয়ংক্রিয়ভাবে ইমো অ্যান্টি-ফ্রড ব্যবস্থা মাধ্যমে ডিলেট হয়ে যাবে।

ইমো অ্যান্টি-ফ্রড যে ভাবে কাজ করে

ইমো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট “ক্রিস্টোফার শু” বলেন, আমরা ইমো ব্যবহারকরীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি এবং ইমো প্ল্যাটফর্ম-এর অপব্যবহার ও ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিসম্পন্ন অপরাধীদের থেকে ইমো ব্যবহার কারীদের সুরক্ষীত রাখতে ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ইমো অ্যান্টি-ফ্রড যেভাবে কাজ করেঃ

সিকিউরিটি রিমাইন্ডার

ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি রিমাইন্ডার মূলত ব্যবহারকারীদেরকে ইমো কোড অন্যদের সাথে শেয়ার না করার জন্য রিমাইন্ডার দিয়ে থাকে। ইমো ব্যবহারকারী যতবার ভেরিফিকেশন কোড পাবেন, ততবারই অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহারকারীকে একটি সিকিউরিটি রিমাইন্ডার পাঠাবে।

অপরিচিতি কারও পাঠানো লিঙ্ক অকার্যকার হয়ে যাবে

আপনার অপরিচিত, ফ্রেন্ড লিস্টে বা কন্টাক লিস্টে নাই এমন কারও পাঠানো কোন লিঙ্ক ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সয়ংক্রিভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে, এমন কি প্রিভিউও হবে না। এছাড়া কন্টাক লিস্টে নাই এমন অপরিচিত ফ্রেন্ডদের সাথে চ্যাট করার সময় চ্যাট পেজের উপরের দিকে একটি সিকিউরিটি রিমাইন্ডার প্রদর্শিত হবে, যাবে ব্যবহার ব্যবহারকারী কোন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ব্যাপারে সতর্ক হবে পারেন।

হ্যাক হওয়া থেকে সুরক্ষা

কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি ব্যবহারকারীর  ইমো অ্যাকাউন্টে লগইন চেষ্টা করলে ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহারকারীকে একটি নোটিফিকেশন পাঠাবে এবং লগইন করার চেষ্টা করা ব্যক্তির লোকেশন সহ নতুন ডিভাইসের বিস্তারিত তথ্য প্রেরন করবে। এবং ব্যবহারকারী ইমো “ম্যানেজ ডিভাইস” অপশনে গিয়ে ডিভাইটি সরিয়ে ফেলতে পারবেন।

আপত্তিকর কন্টেন্ট ব্লক হয়ে যাবে

ইমোর নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন আপত্তিকর কন্টেন্ট এর প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি ব্যবস্থায়। ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম কোন আপত্তিকর কন্টেন্ট দেখলে সেটা সয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে ফেলবে। এবং যে ব্যবহারকারী আপত্তিকর কন্টেন্ট পোস্ট করার চেষ্টা করবে তার ইমো আইডি নষ্টও হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ইমো ব্যবহারকারীদের উদ্বুদ্ধ করে, যদি কোন আপত্তিকর কন্টেন্ট পান বা ইমো’র নীতিমালা লঙ্ঘন করে এমন আচরণের প্রকাশ পান, তবে তা রিপোট করার জন্য ইমো দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করে।

পরিশেষে, ইমো ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতেই ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম চালু করেছে। ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি ব্যবস্থা এ বছর প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ আপত্তিকর পোস্ট ও ৮ লাখ একাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে।

আরও পড়ুনঃ

ইমো ব্যবহারে ৫ টি টিপস্ ও ট্রিকস

১. ফোন নম্বর পরিবর্তন করবেন যেভাবে

  • ইমো অ্যাপে ফোন নম্বর পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে ইমোতে লগইন করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
  • আপনি অ্যাপের নিচের দিকে বাম পাশে একটি (+) আইকন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন।
  • এরপর “More” অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর “Imo Account Settings” অপশনে যান।
  • এরপর আপনি “Change Phone Number” অপশন দেখতে পাবেন সেখানে চাপ দিন।
  • এরপর “Change Number” -এ ক্লিক করুন।
  • প্রথম ঘরে আপনার বর্তমান নম্বরটি লিখুন এবং পরবর্তী ঘরে আপনার নতুন নম্বরটি লিখুন
  • এরপর উপরের দিকে একটি টিক চিহ্ন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। আপনার ফোন নম্বর পরিবর্তন হয়ে যাবে।

২. ইমোতে আপনার অ্যাক্টিভিটি ডাউনলোড করুন

আপনি  এ পর্যন্ত ইমুতে যা কিছু করেছেন, আপনার সেই সকল অ্যাক্টিভিটি গুলো একসাথে ডাউনলোড করে দিতে পারেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
  • প্রথমে (+) অপশনে চাপ দিন।
  • এরপর “More” অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর “Settings” -এ চাপ দিন।
  • এখন “Imo Settings”-এ ক্লিক করুন।
  • এরপর “Request Account Info” তে ক্লিক করুন।
  • আপনার সকল অ্যাক্টিভিটি ডাটা একটি  জিপ ফাইল আকারে পেয়ে যাবেন।

৩. আপনার ইমো অ্যাকাউন্ট অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা চেক করুন

আপনি চাইলে আপনার ইমো একাউন্ট অন্যকেউ ব্যবহার করছে কিনা সেটা চেক করতে পারেন। সেটা দেখতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
প্রথমে (+) চিহ্ন অপশনে চাপ দিন।
এরপর “More”-এ যান।
এখন “Settings” অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর “Imo Account Settings” -এ ক্লিক করুন।
এরপর “Manage Devices”  -এ চাপ দিন।
অন্যকেউ ডিভাইসে আপনার  ইমো অ্যাকাউন্ট লগইন করা থাকলে তা আপনি এখান থেকে দেখতে পানে।
আপনি চাইলে সন্দেহজনক ডিভাইসটি এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে পারবেন।

৪.পপআপ মেসেজ বন্ধ করুন

আপনি চাইলে আপনার ইমোতে কেউ মেসেজ পাঠালে যে পপআপ ম্যাসেজ আসে সেটি বন্ধ করতে পারবেন। পপআপ মেসেজ আসা বন্ধ করতে আপনাকে ইমো’র সেটিংস অপশনে যেতে হবে। এরপর “Notification” অপশন থেকে আপনি পপআপ মেসেজ অপশনটি অফ করে দিলেই পপআপ মেসেজ আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

৫.অপরিচিত কাউকে এড করা বন্ধ করুন

আপনি যদি চান আপনার ইমুতে অপরিচিত কেউকে এড না করতে, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম ‍সেটিংস অপশন থেকে “Functions” অপশনে যেতে হবে। এরপর আপনি “People You May Know” অপশন দেখতে পাবেন, সেখান থেকে যে গোল নীল চিহ্ন আছে সেখানে চাপ দিয়ে অফ করে দিন। আপনার ইমো তে অপরিচিত কেউকে এড করা বন্ধ হয়ে যাবে।

আশাকরি পোস্টটি হতে আপনি ইমো অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং ইমো ব্যবহার সম্পর্কে ৫টি টিপসও ট্রিকস আপনার ভাল লেগেছে। পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং অন্যদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। নিচে সোস্যাল মিডিয় বাটন দেওয়া আছে আপনি আপনার ব্যবহার কারা সোস্যাল মিডিয়া বাটনে ক্লিক করে শেয়ার করতে পারেন বা আপনি চাইলে লিঙ্ক কপি পেস্ট করেও শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top