যেভাবে মোবাইল হ্যাং করা থেকে বাঁচাবেন| 2024

তথ্য প্রযুক্তিও এই যুগে মোবাইল ফোনের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা এতটাই বেড়ে গেছে যে মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিন কাটানোর কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আর মোবাইল যদি হ্যাং করে, ঠিক মত কাজ না করে সেটা আমরা কেউই সহ্য করতে পারি না। অনেকেই হয়ত অধৈর্য হয়ে মোবাইল ফোন হ্যাং করলে আছড়াইতে থাকি। কিন্তু মোবাইল ফোন আছড়াইলে কি হ্যাং ঠিক হয়ে যাবে? নিশ্চয় নয়। সুতারং মোবাইল ফোন হ্যাং করলে অধৈর্য  না হয়ে আজকে আমি  আপনাদের কে যে টিপস্ গুলো বলতে সেগুলো অনুসরণ করলে আপনি  আপনার মোবাইল ফোন হ্যাং করার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

মোবাইল ফোন হ্যাং হওয়া নির্ভর আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপরে। ডিজিটাল বিশ্বে প্রতিযোগীতার সাথে বেড়েই চলেছে নতুন নতুন ডিজাইনের এবং ভার্সনের ডিভাইস সাথে  তৈরী হচ্ছে  নতুন নতুন ভার্সনের  সব অ্যাপ্লিকেশন, আবার আপডেট করাও হচ্ছে পুরাতন ভার্সনের অ্যাপ্লিকেশন গুলোকে নতুন ভার্সনে। আর সাথে সাথে বেড়েও যাচ্ছে  অ্যাপ্লিকেশ গুলোর সাইজও। আর  পুরাতন মোবাইলে এই সব অ্যাপ্লিকেশ গুলো ব্যবহারের ফলে ফোনের মেমোরি জ্যাম হয়ে যায় এবং আমরা মোবাইল ফোন হ্যাং সংক্রান্ত সম্যায় পড়ি।

মোবাইল ফোন হ্যাং করলে কি করণীয়,মোবাইল হ্যাং ,কি করলে ফোন হ্যাং হবে না,মোবাইল ফাস্ট করার উপায়,mobile hang app,মোবাইল টিপস

মোবাইল ফোন হ্যাং করার কারণঃ

  • এন্ড্রয়েড মোবাইল হ্যাং করার প্রধান কারন আপনার মোবাইল ফোনের স্পেস। অর্থাৎ আপনার মোবাইল ফোনের মেমোরিতে (RAM) জায়গার পরিমান কমে গেলে একটানা অনেকক্ষন ব্যাবহার করলে মোবাইল ফোন হ্যাং করে। এটি মূলত মোবাইল ফোনে মেমোরি ( RAM)  তুলনাই বেশি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার কারনেই হয়ে থাকে।
  • মেমোরি কার্ড এর পারিবর্তে ফোন মেমোরিতে বেশি বেশি অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকলে
  • মোবাইল ফোনের cookies/caches/log files গুলি আপনার ফোনের মেমোরি জ্যাম করে। যার মোবাইল ফোন  হ্যাং করে।
  • মোবাইল এর র‌্যামের তুলনায় ভারী অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে বা গেমস্ খেললে মোবাইল ফোন হ্যাং করে।

যেভাবে মোবাইল হ্যাং করা থেকে বাঁচাবেনঃ

  • নিয়মিত মোবাইল ফোনের cookies/caches/log files পরিষ্কার করুন। যাতে আপনার মোবাইল ফোনের মেমোরি জ্যাম ফ্রি থাকবে।
  • মোবাইল ফোনে ইনস্টল করা অব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন গুলি আনইনস্টল করে ফেলুন।
  • কোন অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার সময় চেষ্টা করবেন মেমোরি কার্ডে ইনস্টল করার।
  • ফোনে অপ্রয়োজনীয়  ফাইল/ছবি/ভিডিও থাকলে তা ডিলেট করে ফেলুন।
  • সবসময় চেষ্টা করবেন ফোন মেমোরিতে কমপক্ষে ৩০ জায়গা খালি রাখার।
  • আপনার ফোনের সিটিংস অফশন থেকে আপনার ফোনের কতখানি খালি জায়গা রয়েছে তা খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন।
  • বেটা ভার্সনের  অ্যাপ্লিকেশ ব্যবহার করা। যেমনঃ ফেজবুক বেটা, ইমু বেটা ইত্যাদি। বেটা ভার্সনের অ্যাপ্লিকেশ ‍গুলো সাইজে তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। ফলে আপনার মোবাইলের মেমোরিতে কম জায়গা দিয়ে আপনি অনেক অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে পারবেন। আপনি গুগল প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপ্লিকেশনের বেটা ভার্সন পাবেন।
অনেক সময় মোবাইল ফোনে কিছু কারিগরি ত্রুটি থাকলে মোবাইল ফোন হ্যাং করে। উপরিউক্ত কাজগুলো করার পরও যদি আপনার ফোন টি ঠিক না হয়, যদি আপনার ফোন হ্যাং করে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোনের কারিগরি ত্রুটির কারনেই এমনটি হচ্ছে।

কুকিজ(cookies) ফাইল কি?

আপনি যখন আপনার মোবাইল ফোনে কোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন। তখন ওই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহৃত ফ্যাংশন ও কাজের ডাটা গুলো একটি লগ সংরক্ষন করি সেই লগ ফাইলটিকেই ক্যাশ ফাইল বলে।এটি এক ধরনের ছোট ছোট ফাইল যে গুলো একজন মোবাইল ব্যবহারকারীর মোবাইলে তার দৈনন্দিন  ব্যবহৃত  অ্যাপ্লিকেশ/ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে মোবাইলে জমা হয়ে থাকে। এগুলো হয়ত অনেক ছোট ছোট ফাইল, হয়ত আপনার ফোনে খুব সল্প পরিমান জায়গা নিয়ে থাকে। কিন্তু আপনি আপনার মোবাইল দিনে যতবার ব্যবহার করবেন, যতবেশি ব্যবহার করবেন এর পরিমান  এবং সাইজ বাড়তেই থাকে এবং আপনার মোবাইল ফোনের জায়গা নিতে থাকে।  অর্থাৎ এভাবে যদি এক সপ্তাহ/১মাস চলে তাহলে এই কুকিজ ফাইল গুলো অবশ্যই আপনার ফোনের অনেকখানি জায়গা দখল করে নিবে। এজন্য নতুন মোবাইল  বা আমরা যখন আমাদের মোবাইল ফোনটি ডাটা রিসেট দিয়ে আবার নতুন করি ব্যবহার তখন বেশ কিছুদিন আমাদের মোবাইল ফোন হ্যা করে না।আমরা যদি  মোবাইল ফোনের কুকিজ ফাইল গুলি নিয়মিত পরিষ্কার করি তাহলে এই অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলি অযথা আমাদের ফোনের জায়গা দখল করতে পারবে না এবং আমাদের ফোনের মেমোরি সবসময়  ফ্রি থাকবে, মেমোরি জ্যামও করবে না এবং মোবাইল ফোন হ্যাং সংক্রান্ত সমস্যাও দুর হবে।
সর্বোপরি বলা যায়, আপনি যদি আপনার ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করেন  তাহলে আশাকরি আপনি মোবাইল ফোন হ্যাং সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুক্ষীন হবেন না। আমি নিজেও উপরিউক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করি এবং শুধুমাত্র মোবাইলের ক্ষেত্রে নয় কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আমি প্রতি সপ্তাতে একবার কুকিজ (cookies) ফাইল পরিষ্কার করি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top