অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে আইফোনের স্পেস বাড়িয়ে নিন

আমাদের দৈনিন্দন  জীবনে মোবাইল  একটি খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাড়িয়েছে।আমরা এক মুহুর্ত কল্পনা করতে পারি না মোবাইল ছাড়া। কেননা যা ই করি না কেনো সব কিছুতেই মোবাইলের প্রয়োজন। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিশিয়াল  প্রায় সব কাজ ই করে থাকি মোবাইল দিয়ে।

অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে আইফোনের স্পেস বাড়িয়ে নিন

কিন্তু আমাদের মোবাইলটি যদি স্লো হয়ে থাকে তবে এর থেকে বিরক্তকর জিনিস হয়তো আর কিছু হয় না। কোনো ফাইল ওপেন করতে যাব কিন্তু সেখানেই সময় নিচ্ছে ৫-৬ সেকেন্ড। মাঝে মাঝে আমাদের মনে হয়ে থাকে যে এমন মোবাইল থাকার চেয়ে না থাকাই বরং ভালো। কিন্তু কি আর করার। এই স্লো মোবাইল নিয়েই আমাদের কাজ করে যেতে হয়।কিছু করার থাকে না।আর যাদের সম্ভব হয় তারা নতুন একটি মোবাইল কিনে নেয়।কিন্তু আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের কিছুই করার থাকে না।এখন আসি আসল কথায়!! আজকে আমি আপনাদের এই পোস্ট এ দেখিয়ে দিব যে কিভাবে আমরা আমাদের মোবাইল টিকে স্লো থেকে স্পীডি করে ফেলতে পারি।অর্থাৎ আমরা কিছু কাজ করার মধ্যমেই আমাদের কম্পিউটারের speed বাড়িয়ে ফেলতে পারি। তো বন্ধুরা আসুন শুরু করা যাক আর কথা না বাড়িয়ে।আজকের এই পোস্ট এর টাইটেল দেখেই বন্ধুরা হয়তো বুঝে গেছেন যে আজকের পোস্টটি কি নিয়ে।হ্যা! বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে কিভাবে আমরা আমাদের আইফোনের বিরক্তিকর Cache রিমুভ করে আমাদের আইফোনকে ফ্রী-আপ করে নিতে পারি।তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্টটি।

যেভাবে আইফোনের Cache  রিমুভ করব-

আমাদের আইফোনের চেজ গুলোকে রিমুভ করে অনেকটা স্পেশ ফ্রি করে নিতে পারি।এর ফলে আমাদের আইফোন অনেকটা হবে ফ্রী আপ।অর্থাৎ অনেকটা ফ্রী স্পেস এর হয়ে যাবে। আমাদের আইফোনের স্পেস ও অনেকটা ফাকা হয়ে যাবে এর কারনে।

কম্পিউটার ব্যাবহার করে-

এবার আমরা দেখব কিভাবে একটি কম্পিউটার ব্যাবহার করে আইফোনের স্পেস ফ্রি করে নিতে পারি।
এর জন্য আমাদের প্রথমেই একটি iMyFone  নামের এপ নামিয়ে নিতে হবে।উপরে আমি এই এপটির লিংক দিয়ে দিচ্ছি এখান থেকে আপনি চাইলে নামিয়ে নিতে পারেন। এরপর আমরা আমাদের আইফোনটিকে আমাদের কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে নেই।সংযুক্ত করে নিলে আমাদের আইফোনে একটি নোটিফিকেশন চাইবে পারমিশনের জন্য।আমরা Trust এ ক্লিক করে পারমিশন দিয়ে দিব।এতে করে স্পেস ফাকা করার জন্য পারমিশন পেয়ে যাবে আমাদের কম্পিউটারটি।

এইবার আমাদের কম্পিউটারে আমরা আমাদের আইফোনের অপশন গুলোকে দেখতে পারব।এখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী একটি অপশন বেছে নিয়ে সেটি ক্লিন করে দিতে পারব।অর্থাৎ আমরা আইফোনের বিরক্তিকর সব জাংক ফাইলগুলো ডিলিট করে দিতে পারব।আমরা বেছে বেছে এখান থেকে ক্লিক করে সব ফাইলগুলোকে ডিলিট করে দিব যাতে আমাদের আইফোনের স্পেস ফাকা হয়ে যায়।

থার্ড পার্টি এপ ব্যাবহার করে-

এইবার আমরা দেখব যে কিভাবে কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়াই একটি থার্ড পার্টি এপ ব্যাবহার করে আমাদের আইফোনের স্পেস ফাকা করে নিতে পারি। এর জন্য আমরা ব্যাবহার করব Battery Doctor নামের একটি এপস।এইটি ব্যাবহার করতে আইফোনের যত অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আছে সব গুলোই রিমুভ করে নিতে পারব।এখান থেকে আমরা Junk File গুলোকে বেছে বেছে আলাদা করে ডিলিট করে নিতে পারব।যার ফলে আমাদের আইফোনটি হবে আরো ফ্রী স্পেস এর।

রি-ইন্সটল করুন এপসঃ

এইটি খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। আমরা যখন কোনো এপস ব্যাবহার করি ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয়   ফাইল এসে আমাদের মোবাইলের স্পেশ দখল করে নেয়।এই ফাইলগুলো আমাদের মোবাইলের না-না ক্ষতিও করে থাকে।তাই আমাদের উচিত এই অপ্রয়োজনীয় বিরক্তিকর  ফাইল গুলোকে রিমুভ করা।এর জন্য আমাদের কোনো এপ কে, অবশ্যই যে এপ গুলো দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যাবহার করেছি সেগুলো আনস্টল করে আবার ইন্সটল করলে এর ভিতর থাকা সব অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলো মুছে যাবে।তাই বলা যেতে পারে যে এইটি আসলেই একটি কার্যকর পদ্ধতি। আমাদের এন্ড্রোয়েড মোবাইলে ক্লিয়ার ডাটা অফ করার একটি অপশন থাকলেও আইফোনে এই ফিচার টি না থাকায় আমাদের এই কাজটি করতে একটু ঝামেলা হয়। আশা করি এইটি করলে আমাদের আইফোনের স্পেস একটু হলেও বেড়ে যবে।
উপভোগ করি ফ্রি স্পেস-
তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর আমাদের আইফোনের স্পেস ফাকা করা নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই।আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top