নতুনদের জন্য আর্টিকেল লেখার পদ্ধতি | ব্লগ লিখার কয়েকটি টিপস।

আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর এই ভার্চুয়াল জগতে একে অপরের থেকে এগিয়ে যাওয়ার কম্পিটিশন এ আছি।কে কার থেকে এগিয়ে যেতে পারে।ঠিক সেই রকম ভাবে আমরা যে প্লাটফর্মটি এখন বেশি ব্যাবহার করে থাকি সেটি হলো কোনো ওয়েবসাইট।আর ওয়েবসাইটে কোনো কিছু প্রদর্শন করার জন্য প্রয়োজন ব্লগ লিখা।আর যার ব্লগ যত সুন্দর হবে সে তত এগিয়ে যেতে পারবে।তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক আজকেই এই ব্লগ রাইটিং বিষয়টি নিয়ে।

নতুনদের জন্য ব্লগ লিখার কয়েকটি টিপস,আর্টিকেল লেখার নিয়ম,ব্লগ লেখার নিয়ম,ব্লগিং করে আয়

একটি ব্লগ সফলভাবে আগিয়ে নিতে হলে আপনি তাতে কি লিখছেন এবং কিভাবে লিখছেন তাতে মনোযোগ  অবশ্যই দেয়াটা জরুরি।  তাই আমি আপনাদের আমার নিজের ব্যক্তিগত এক্সপেরিয়েন্স থেকে ৫ টি এমন নিয়ম বলবো যেগুলি একটি ব্লগে আর্টিকেল লেখার আগে আপনাদের জেনে রাখা অনেক জরুরি। সোজাভাবে বললে, এই ৫ টি হলো একটি আকর্ষণীয় ব্লগ লেখার নিয়ম।

মনে রাখবেন, আপনি যে বিষয়ে ব্লগে লিখছেন সেই বিষয়ে অনেকেই আগে থেকে ব্লগ লিখে রেখেছেন। আপনি একবার গুগল সার্চ করলেই বুঝে যাবেন যে আপনার বেছে নেয়া বিষয়ে কতটি আর্টিকেল আগে থেকেই ইন্টারনেটে লিখা হয়ে গেছে।

তাই, এখন প্রশ্ন হলো , আপনার লেখা ব্লগ মানুষ কেন পড়বেন বা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেল কেন লোকেদের দেখানো হবে ?

এটার একটি সহজ এবং সাধারণ সমাধান হলো, যাই লিখবেন দক্ষ্য হিসেবে লিখুন। মানে, আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন তার বিষয়ে ভালো করে জেনে একটি একটি কথা detail এ লিখুন। আপনার লেখা বিষয়ে আপনার পুরো জ্ঞান থাকতে হবে।

আপনার লিখা আর্টিকেলের বিষয়ে আপনি যতটা ভালোকরে লিখতে পারবেন, যতটা বিস্তারিত  এ জিনিশগুলি বুঝিয়ে বলতে পারবেন ততোটাই ভিজিটর্স বা ট্রাফিক আপনার ব্লগে আসবেন। কারণ লোকেরা আপনার ব্লগে সেই বিষয়ের ওপর সবকিছুই ভালোকরে জানতে পারছেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

যদি আপনি “Android মোবাইল রুট” এর ওপর আর্টিকেল লিখছেন তাহলে লোকেরা আপনার আর্টিকেল তখন ভালো পাবে যখন আপনি মোবাইল রুট এর ব্যাপারে সবটাই ভালোকরে বুঝিয়ে বলবেন। যেমন, রুট কাকে বলে ? রুট করলে কি লাভ হয় ? রুট কিভাবে করনে ? আরো অনেক।

এতে ইন্টারনেটে অন্যদের লেখা আর্টিকেল থেকে আপনার আর্টিকেল লোকেরা বেশি ভালো পাবেন। কারণ আপনি একটি আর্টিকেলে তাদের মনে আশা সব প্রশ্ন সমাধান দিয়ে দিচ্ছেন।

২. সোজাভাবে ব্লগ / আর্টিকেল লিখবেন

মনে রাখবেন, আপনার ব্লগে আর্টিকেল পড়তে আসা লোকেরা যদি আপনার লেখা বুঝতেই না পারে বা তাদের বুঝতে অসুবিধে হয়, তাহলে আপনার ব্লগ লেখার কোনো মানেই হয়না। এতে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না।তাই, সব সময় সহজ সরল ভাষাতে ব্লগ লেখবেন যাতে অনেক সহজেই বুঝে নিতে পারে যে আপনি কি লিখেছেন। এর বাইরেও, এইটাও মনে রাখবেন যাতে আপনি ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখুন। যত বড় প্যারাগ্রাফ করে আপনি লিখবেন ততটাই অসুবিধে হবে আপনার লেখা আর্টিকেল পড়তে।

আপনি আমার এই আর্টিকেলটি দেখতে পারেন, আমি যতটা সম্ভব ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখেছি যাতে আপনাদের পড়তে এবং বুঝতে সুবিধে হয়। এর সাথেই কমা ব্যবহার করুন।

৩. Bold Heading, কমা,  ব্যবহার করুন

আপনি হয়তো আমার এই আর্টিকেলে দেখেছেন যে, আমি জাগায় জাগায় Bold heading, কমা   ব্যবহার করছি। আর আপনিও অবশ্যই নিজের লেখা আর্টিকেলে এইগুলির ব্যবহার অবশ্যই করবেন। এতে, আর্টিকেল পড়তে এবং বুঝতে অনেক সুবিধে হয় আর সার্চ ইঞ্জিন  যেমন Google search ও এমন আর্টিকেল পছন্দ করেন।

অবশই মনে রাখবেন , আর্টিকেল লেখার সময়, একটি H1 BOLD HEADING একটি H2 BOLD HEADING এবং কয়েকটি (৩ থেকে ৪ টি) H3 বা H4 heading অবশই ব্যবহার করবেন। এতে আপনার লেখা আর্টিকেল অনেক আকর্ষণীয় এবং পড়তে সহজ হয়ে যাবে।

৪. আর্টিকেলে ছবি  ব্যবহার করুন

নিজের ব্লগের আর্টিকেলে ছবি অবশই ব্যবহার করবেন। কিন্তু তা বলে যেকোনো ছবি নয়। আপনার আর্টিকেলের সাথে মিল রেখে ছবি ব্যবহার করবেন।

মনে রাখবেন, ব্লগ আর্টিকেলে ছবি ব্যবহার করলে লোকেদের আপনার আর্টিকেল পরে অনেক ভালো লাগবে কারণ তাতে তাদের সেই বিষয়ে দেখার ও অনেক কিছু থাকবে।আপনি যদি কোনো টিউটোরিয়াল আর্টিকেল লিখছেন যেমন, “ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় বা অনলাইন শপিং কিভাবে করবেন” তাহলে তাতে যদি আপনি ছবি ব্যবহার করে বুঝিয়ে লিখেন তাহলে আপনার লেখা আর্টিকেল থেকেও অনেক সহজে বুঝতে পারবেন। একটা ছবি আমাদের অনেক কিছুই বুঝিয়ে দিতে পারে।

তাই, যতটা সম্ভব আর্টিকেলে ছবি বা স্ক্রিনশট ব্যবহার করবেন।

৫. Regular ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন

নিজের ব্লগে কম হলেও সপ্তাহে ৩ বা ৪ টি করে আর্টিকেল লিখে পোস্ট করবেন। এইটা অনেকেই জানেনা যে নিয়মিত ব্লগে না লিখলে Google search থেকে ফ্রি ভিজিটর্স বা ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ হারাতে হয়। কারণ, Google চায় আপনি আপনার ব্লগে নতুন নতুন আর্টিকেল লিখে পোস্ট করতে থাকুন কমেও ৩ টি করে সপ্তাহে।

উপভোগ করি আর্টিকেল লেখা- 

তো বন্ধুরা আশা করি উপরের পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করলেই আপনি সঠিক ভাবে এই কাজটি করতে পারেন।এখন থেকে আশা করি আর ব্লগ নিয়ে কোনো ঝামেলায় পরতে হবে না।আজ এই পর্যন্ত-ই।আবার অন্য একদিন কথা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top