ছাত্রদের জন্য মাসে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় অনলাইনে।

ছাত্রদের প্রধান কাজ লেখা পড়া করা। কিন্তু কেমন হবে যদি অবসর সময়ে পড়ালেখার পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়? হ্যাঁ, ছাত্রজীবন থেকেই আপনি অনলাইনে আয় কারতে পারবেন এবং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। পাশাপাশি অনেক প্রফিশোনাল স্কীল অর্জন করতে পারবেন যা আপনার ছাত্রজীবন শেষে কর্ম জীবনে অনেক সাহায্যও করবে এবং আপনি প্রফিশোনালী অন্যদের থেকে অনেকখানি এগিয়েও থাকবেন। এবং পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করে পকেট খরচও জোগাড় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যাসিং বা অনলাইনে আয় বর্তমানে অনেক জনিপ্রয় এবং স্কুল-কলেজ বা মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্ররাও ফ্রিল্যাসিং করে অনলাইন থেকে আয় করছেন। আপনি জানেন কিনা জানি না, বর্তমানে  ৩৬% এরও বেশি মানুষ অনলাইনে আয় করে। আর ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে, না লাগে কোন কোন একাডেমিক সাটিফিকেট, না কোন অভিজ্ঞতা, শুধু আপনার যদি ভাল স্কীল থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে মাসে ১০,০০০ টাকা থেকে ১০০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে অভিজ্ঞতার বাড়ার সাথে সাথে আয়ের পরিমাণটাও বাড়ে।

অনলাইন থেকে মাসে ১০,০০০ টাকা থেকে ১০০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

অবসর সময়ে বিভিন্ন কাজ করে পড়শোনার পাশাপাশি ছাত্ররা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারে । ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে এমন অনেক কাজ আছে যা তুলনামূলক অনেক সহজ এবং কম সময়ে করা যায়। এই কাজ গুলো করে ছাত্ররা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে। এছাড়াও আরও অনেক উপায় আছে ছাত্রজীবনে আনলাইন থেকে টাকা আয় করার। আজকের এই পোস্টে আমি ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার সেরা ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার উপায় জানার আগে চলুন এটা জেনে নেই যে, ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করতে কি কি লাগে?

পোস্ট সূচীপত্রঃ

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করতে কি কি লাগে

অনলাইনে আয় করার জন্য অন্যদের যে জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়। ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করতে ব্যতিক্রম কিছু লাগে না। সুতরাং আপনাকে জানতে হবে অনলাইনে আয় করতে কি কি লাগে?
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করতে আপনার কি কি জিনিসপত্র প্রয়োজন তা মূলত নির্ভর করে আপনি কোন ক্যাগরির কাজ করবেন তার উপর। তবে ব্যাসিক্যালি যে জিনিস গুলো লাগে অনলাইন থেকে আয় করার জন্য সেগুলো হলঃ

 

  • প্রথমত, একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। তবে, আপনি মোবাইল দিয়েও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে এমন অনেক কাজ আছে যা মোবাইল দিয়ে করা যায় এবং অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।
  • ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই থাকতে হবে।
  • কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর ব্যাসিক নলেলজ ।

অনলাইনে টাকা আয় করতে কি কি লাগে সেটা জানলাম এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।

 

ছাত্রদের জন্য লেখাপড়ার পাশাপশি ইন্টারনেট থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্য থেকে আমি সেরা ১০ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন আর দেরি না করে জেনে নিই ছাত্রদের অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ১০ টি উপায় গুলো কি কি?

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার ১০ টি উপায়

ছাত্র জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম মানে ভিডিও দেখে, অ্যাপ ইন্সস্টল করে আয় করার ইচ্ছা থাকলে, আমি বলব ভাই, এ সব চিন্তা বাদ দিয়ে কোন কাজ করার কথা ভাবুন, কাজ ছাড়া আপনাকে কেউ ফ্রিতে টাকা দিবে না। অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম মানে ঘরে কম্পিউটারের সামনে কিছু সয়ম বসে থাকব আর টাকা ইনকাম করব তা কখনও সম্ভব নয়।

আপনি হয়ত বলতে পারেন ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করার জন্য বা কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও তো দরকার। কিন্তু, আপনাকে তো ভবিষ্যৎ করিয়ার এবং স্কীল এর কথাও তো ভাবতে হবে। সুতারং, আপনাকে লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইনে এমন কোন কাজ করতে হবে যেটাতে ক্যরিয়ার গড়তে পারবেন বা স্কীল ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। ভিডিও দেখে অনলাইনে আয় করার মধ্যে না আছে কোন ক্যরিয়ার না কোন স্কীল। আর অনলাইনে এমন অনেক কাজ আছে যা আপনি প্রতিদিন অল্প সময দিয়েও লেখাপড়ার পাশাপাশি ভাল পারিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ছাত্রদের জন্য আয় করার উপায়, পড়ালেখার পাশাপাশি আয় করার প্লান।

যাইহোক, আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন ১০টি সেরা উপায় সম্পর্কে বলব যার মাধ্যমে আপনি ছাত্র অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন পাশাপাশি স্কীল ডিভেলমেন্ট করতে পারবেন যা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে অনেক সাহায্য করবে।

ছাত্রদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আয় করার ১০টি সেরা উপায়

১. ব্লগিং করে অনলাইনে আয়

ছাত্রদের জন্য অনলাইন ইনকামের মাধ্যম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও আনলিমিটেড এবং লাইফটাইম ইনকাম করার উপায় হল ব্লগিং। আপনি এই যে আর্টিকেল পড়ছেন আমাদের ওয়েবসাইটে bestblog24.com এটাও একটি ব্লগিং ওয়ৈবসাইট। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে যে এড গুলো দেখতে পাচ্ছেন এই এড গুলো থেকে আমাদের ওয়েবসাইটের ইনকাম হয়। আপনিও চাইলে এমন একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয়, ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়, স্কুল কলেজ বা মাাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় এর উপায়, লেখা পড়ার পাশাপাশি অনলাইনে আয়,ব্লগিং করে অনলাইনে আয়, ছাত্রদের জন্য ব্লগিং করে অনলােইনে আয়ের উপায়।
ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ফুল টাইম কাজ করতে হবে না। লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্টাইম কাজ করেও আপনি ব্লগিং করে আয করতে পারবেন। প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা কাজ সময় দিয়েও মাসে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। তবে, সফলতা পেতে অনেক দিন সময় লাগে এবং অনেক রিসার্চ ও ভাল রাইটিং স্কীল এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারলে আপনার সফলতা নিশ্চিত।

ব্লগিং করতে কি কি লাগে?

  • একটি কম্পিউটার বা ভাল মানের ফোন
  • একটি ওয়েবসাইট
  • ডোমেইন এবং হোস্টিং

ব্লগিং কি এবং কিভাবেন করবেন?

ব্লগিং এর আবিধানিক অর্থ হল ভার্চুয়াল ডায়েরি, বিভিন্ন তথ্য ও খবরাখবরের সমাহার। একজন মার্কিন নাগরিক “জোম বার্গার” যিনি ১৯৯৭ সালে ওয়েব ব্লগ উদ্ভাবন করেন। একটি ব্লগের মাধ্যমে আপনি মানুষের সাথে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেখিয়ে এবং বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করার জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে। যার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং। এবং সেটার জন্য আপনার হয়ত বছরে ২০০০-২৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। আর ওয়েবসাইট তৈরী? আপনি কোন থার্ড পার্টির কাছ থেকে করে নিতে পারেন বা আপনি ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন যেখানে আপনি কোডিং ছাড়াই খুব সহজে ব্লগার ডটকম বা ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং এর ইনকাম মূলত নির্ভর করে প্রথমত, ব্লগের ট্রফিক/ভিজিটর, ব্লগিং নিশ, এবং আপনার লেখার কোয়ালিটির উপর।তবে একজন ব্লগার প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে, বাংলাদেশি টাকায় ৪০,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করে।

২. ইউটিউব করে অনলাইনে আয়

ইউটিউব থেকে আয় করার যায় এটা এখন জানে না এমন লোক নাই বললেই চলে। ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের আর একটি জনপ্রিয় উপায় হল ইউটিউবিং। বর্তামানে ভিডিও কনেন্ট এর জনপ্রিয়তা অনেক। ফলে ভিডিও কনেন্ট মার্কেটিং এর প্রতি আগ্রহও দিন দিন বাড়ছে। ইউনিক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরী করে ইউটিউবে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি ছাত্রজীবন চলাকালীন পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে থেকে আয় করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে আয় করতে কি কি লাগে?

  • কম্পিউটার বা ভালমানের মোবাইল ফোন
  • ক্যামেরা ( আপনার মেবাইলের ক্যামেরা ভাল হলে ব্যবহার করতে পারে)
  • ত্রিপদী স্ট্যান্ড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • ভিডিও এডিটিং নলেজ

ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় হয়?

ছাত্রদের জন্য ইউটিউব থেকে আয় বা একজন ইউটিউবারের আয় এর সোর্স একই। ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের উপায়, ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় হয়? সেগুলো হলঃ
  • ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম
  • প্রডাক্ট বিক্রি
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট স্পন্সর করে আয়।

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় হয় নির্ভর করে আপনার কাজের উপর। যত ভাল কাজ করবেন যত পরিশ্রম করবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের দেশে এমন ইউটিউবার আছেন যারা প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

৩. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়

আপনার তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে ছাত্র জীবন থেকেই অনলাইনে আয় করতে পারেন। যাকে আমরা ফটোগ্রাফি বলি। হ্যাঁ, ফটোগ্রাফি করে আপনি ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। বর্তমানে অনেক কোম্পানী, ফ্রিল্যাসার ,গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা একজন ডিজিটাল মার্কেটার ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরী করার জন্য স্টক ইমেজ ব্যবহার করেন। অনলাইনে কিছু স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট আছে যেখানে ছবি কেনা-বেচা হয়। এই স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলো থেকে মূলত ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের প্রয়োজনীয় এবং পছন্দমত ছবি ক্রয় করেন এবং ফফোগ্রাফাররা নিজেদের তোলা ছবি বিক্রয় করে অনলাইন থেকে ইনকাম করেন।
আপনার যদি ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমেও ছবি কেনা-বেচা করতে পারেন। আপনার তোলা ছবির সাথে প্রাইজ লিখে ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে দিন। আপনার তোলা ছবি কারও পছন্দ হলে আপনার সাথে ‍যোগাযেগ করবে ছবিটি কেনার জন্য।

অনলাইনে ছবি বিক্রি করার কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট

৪. ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইনে আয়

বিভিন্ন ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যায়। এসব মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে মূলত বিভিন্ন কোম্পানী বা ব্যক্তি ডাটা এন্ট্রি জন্য ফ্রিল্যাসার হায়ার করেন। ডাটা এন্ট্রির কাজ হল ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। আপনার যদি টাইপিং স্কিল ভাল থাকে তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করেও পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।

 ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো কি কি হয় ?

  • ওয়ার্ড বা এক্সেল প্রোগ্রামে ডাটা এন্ট্রি।
  • স্ক্যান ফাইলকে কম্পিউটারে টাইপ করা।
  • ডাটা এডিট করা।
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রডাক্ট আপলোড।
  • বিভিন্ন কোম্পানীর ইআরপি বা সিস্টেমে ডাটা ইনপুট করা ইত্যাদি।

ছাত্র অবস্থায় ডাটা এন্ট্রির কাজ করে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?

ছাত্র অবস্থায় আপনি হয়ত ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন না। যদি আপনি পার্টটাইম হিসেবে কাজ করনে তারপরও আপনি মাসে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন ডাটা এন্ট্রির কাজ করে।

কয়েকটি ডাটা এন্ট্রির কাজ করার ওয়েব সাইট

৫. কন্টেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয়

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের আর একটি ভাল উপায় হল কন্টেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয়। বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ, আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা বড় অংশ দখল করে আছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। পর্বে যে ব্লগিং বা ইউটিউবে অনলাইনে আয় এর কথা বলেছি এগুলোও কিন্তু কন্টেন্ট মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে।
যাইহোক, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আপনি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিং হল কোন বিষয় সম্পর্কে একটু রিসার্চ করে একটি ডকুমেন্টটরি বা আর্টিকেল লেখা। কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করলে আপনি অনলাইনে আয়ের পাশাপশি অনেক কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। যা আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরী

  • আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে জানতে হবে।
  • ক্রিয়েটিভ হতে হবে। (কনেন্ট রাইটিং একটি ক্রিয়েটিভ পেশা)
  • ভাষাগত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। (যে ভাষায় কন্টেন্ট লিখবেন সেটা তো অবশ্যই জানতে হবে)
  • রাইটিং স্পিড ভাল থাকলে কম সময়ে অনেক কাজ করতে পারবেন।

কয়েকটি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করার ওয়েবসাইট

কন্টেন্ট রাইটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

আপনি কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে ছাত্র অবস্থায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তবে, আপনি যদি ইংরেজী ভাষায় কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন এবং রাইটিং স্কীল ভাল হয় তাহলে আপনি প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

৬. গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে অনলাইনে আয়

ছাত্রাবস্থায় আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে অনলাইন অর্থ আয় করতে পারবেন। বর্তমানে ইন্টারনেটেই গ্রফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কোর্স পাওয়া যায় সেখান থেকে আপনি অনলাইনে গ্রাফিজ ডিজাইন শিখতে পারেন অথবা কোন আইটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে পারেন।

ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কি কি কাজ পাওয়া যায়?

ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক ধরনের কাজ আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ গুলো হলঃ
  • লগো ডিজাইন
  • ব্যানার ডিজাইন
  • বিজনেস কার্ড ডিজাইন
  • ব্রশিয়ার ডিজাইন
  • সেশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ডিজাইন
  • প্যাকেজিং ডিজাইন
  • অ্যানিমেশন ডিজাইন, ইত্যাদি।

কয়েকটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার করার ওয়েবসাইট

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ছাত্র অবস্থায় আনলাইনে আয় কত টাকা?

গ্রফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে কাজ করে ইনকামের পরিমান নির্ভর করে আপনার ক্রিয়েটিভিটি এবং কাজের কাজের ধরনের উপর। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ছাত্র-ছাত্রীরা মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে।

৭. রিসেলিং করে করে অনলাইনে আয়

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের আর একটি উপায় হল রিসেলিং করে অনলাইনে আয়। বর্তমানে অনলাইনে পন্য বিক্রি করা অনেক জনপ্রিয় ব্যবসা। আপনিও চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
রিসেলিং মূলত কিছুটা ই-কমার্স ব্যবসার মত , তবে আপনার কোন পন্য সোর্সিং বা ডেলিভারী সংক্রান্ত ঝামেলা নেই। প্রডাক্ট সোসিং এবং ডেলিভারীর কাজটা রিসেলিং কোম্প্নীরাই করে থাকেন। আপনাকে শুধু অনলাইনে পন্য বিক্রয় করতে হবে। সেটি আপনি একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বা ওয়েবসাাইটের মাধ্যমেও করতে পারবেন।

রিসেলিং প্রসেস

  • রিসেলিং কোম্পানীতে সেলার হিসেবে একাউন্ট খোলা।
  • পছন্দমত পন্য সিলেক্ট করা যেগুলো আপনি বিক্রয় করতে চান।
  • আপনার ওয়েবসাইটে ফেসবুকে পন্যের ছবি ,বিবরণ সহ প্রাইজ লিখে আপলোড দিন।( বি:দ্র: রিসেলার কোম্পানী গুলো তাদের একটি প্রডাক্টের নির্দিষ্ট প্রাইজ দিয়ে থাকে। আপনাকে তার চাইতে একটু বেশি দামে বিক্রয় করতে হবে। আপনি যে বেশি টাকা বিক্রয় সেটাই আপনার  ইনকাম।)
  • বিক্রয়ের সময় কাস্টমারের নাম, কন্টান্ট নম্বর এবং ঠিকানা সংগ্রহ করুন।
  • এরপর রিসেলার ওয়েবসাইটে গিয়ে কাস্টমারের সকল তথ্য দিয়ে অর্ডার প্লেস করে দিন। আপনার কাজ শেষ বাকিটা রিসেলার কোম্পানীরাই করবে।
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় রিসেলিং কোম্পানী “শপআপ”।

৮. ভিডিও এডিটিং করে অনলাইনে আয়

আপনার যদি ভিডিও এডিটিং-এর  স্কীল থাকে বা আপনি ভিডিও এডিটিং শিখে অনলাইনে আয় করতে পারেন। বর্তমান মার্কেটপ্লেজ-এ ভিডিও এডিটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজের ডিমান্ডও অনেক বেশি হয়। আপনিও ছাত্র অবস্থায় ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইল থেকে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যাসিং মার্কেটপ্লেসে ভিডিও এডিটিং এর কি কি কাজ পাওয়া যায়?

বার্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে ভিডিও মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভিডিও কন্টেন্ট এর চাহিদাও অনেক বেশি। বিভিন্ন কোম্পানী মার্কেটিং এর জন্য ইন্ট্রো ভিডিও, এডর্ভাটাইজিং ভিডিও, এবং বিভিন্ন প্রমোশনাল ভিডিও এডিটিং এর কাজ করিয়ে থাকেন। অ্যানিমেশন ভিডিও ডিজাইন এবং বিভিন্ন ফ্লিম ইন্ডাষ্ট্রি গুলোতে অনেক কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং  এজেন্সিতে কাজ করেও ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং এর কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

  • একটি ডেক্সপট বা ল্যাপটপ
  • ফটোশপ বা এলাস্ট্রাটর
  • ভিডিও এডিটিং টুলস
  • ইন্টরনেট কানেকশন

কয়েকটি ভিডিও এডিটিং  এর কাজ করার ওয়েবসাইট

ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে ছাত্রজীবন থেকেই অনলাইনে মাসে ৩০০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। এছাড়া আপনি যদি ছাত্রজীবনে ভিডিও এডিটিং এর কাজ ভালভাবে শিখে নিতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যৎ বিভিন্ন ফ্লিম ইন্ডাষ্ট্রিতে বা এড কোম্পানীতে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করে মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।

৯. ফেসবুক থেকে আয়

বর্তমানে ফেসবুক থেকে যে টাকা আয় করা যায় এটা এখন আর কারও অজানা নয়। ফেজবুকের মাধ্যমে পন্য বিক্রয় করে, বা কন্টেন্ট তৈরী করে বা ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে কাজ করা সহ অনেকভাবে অনলাইনে আয় করা যায়। আপনি  ছাত্র অবস্থায় ফেসবুক থেকে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে কি কি ভাবে টাকা আয় করা যায়

  • ফেসবুকে পন্য বিক্রয় করে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ করে
  • বিভিন্ন কোম্পানীতে সোশ্যাশ মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে।

১০.  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার আর একটি ভাল উপায় হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলেয়েট মার্কেটিং হল অন্য কারো বা কোন কোম্পানীর পন্য কমিশনের মাধ্যমে বিক্রয় করা। আপনি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেজবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটি করে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পরেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি প্রতিমাসে ৪০/৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
বোনাস টিপসঃ

অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করে

বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস এখন আমাদের কাছে আর অপরিচিত নেই। করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইন ক্লাস। একজন ছাত্রের সবচেয়ে ইচ্ছামূলক পেশা হল টিউশনি বা টিসিং পেশা। বর্তমানে অনলাইনেও অনেক টিউশনি পাওয়া যায়। আপনি একজন অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
গুগল মিট বা জুম এর মাধ্যমে ক্লাস রুম তৈরী করে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করে আয় করতে পারেন। আমি মনেকরি ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হল অনলাইন টিউটর হিসেবে কাজ করা। তবে, এটি করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ডেক্সপট বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

পরিশেষে,

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের অনেক উপায় আছে। এর মধ্য থেকে আমার কাছে ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয়ের যে উপায়গুলো সহজ এবং তুলনামূলক ভাল পারিমান অর্থ পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে আয় করা যায় তার মধ্য থেকে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয়ের সেরা ১০ টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। পোস্টটি ভাল লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং পোস্টটি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে নিচের কমেন্ট সেকশনে গিয়ে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
আর একটি কথা অনলাইনে আয় করার কথা শুনলে আমাদের চোখের সামনে যতটা সহজে টাকার ছবি ভাসতে থাকে ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় অতটা সহজ নয়। অনলাইনে যারা ফ্রিল্যাসার হিসেবে প্রতিষ্টিত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন তারা কিন্তু রাতারাতি সফল হয়নি। এর পিছনে আছে অনেক রিসার্চ,ধৈর্য এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা। আপনার যদি পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং ধৈর্য থাকে তাহলে আপনিও সফল হবেন এবং ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে আয় করতে পারবেন। আপনার জন্য রইল অনেক সুভকামনা। ধন্যবাদ!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top